শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
ইতোমধ্যে সেখান থেকে পাওয়ার লোহা ও চুম্বক জাতীয় পদার্থের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ‘ভালো কিছু’ পাওয়ার প্রত্যাশা করছে ভূতাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
কয়লার খনি আবিষ্কৃত হওয়ার পর এবার দিনাজপুরের হিলিতে লোহার খনি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের (জিএসবি) একটি দল সেখানে খনন প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে।
ইতোমধ্যে সেখান থেকে পাওয়ার লোহা ও চুম্বক জাতীয় পদার্থের নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ‘ভালো কিছু’ পাওয়ার প্রত্যাশা করছে ভূতাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
এদিকে, লোহার খনির সম্ভাব্যতার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার ইসবপুর গ্রামে খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে খনন কাজের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ শিবলী সাদিক। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) এর ২২ সদস্যের একটি দল খনন কাজে নিয়োজিত আছে।
এর আগে ২০১৩ সালে হাকিমপুর উপজেলার মুর্শিদপুর গ্রামে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে জরিপ কার্যক্রম চালায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। সেবার দেশে প্রথমবারের মতো লোহার আকরিকের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
সেই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই দ্বিতীয় পর্যায়ের জরিপ কার্যক্রম চালাচ্ছে অনুসন্ধানকারী দল।
খননকারী দল সূত্র জানিয়েছে, ভূপৃষ্ঠের এত কাছাকাছি লোহার খনি আবিষ্কার দেশের এবারই প্রথম।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেন, আমাদের মাটির নিচে থাকা সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী জরিপ পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর হিলির ইশবপুর গ্রামে ড্রিলিং কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক সাইদুল হোসেন ও উপ-পরিচালক মাসুদ রানা জানান, আমরা এর আগে ২০১৩ সালের দিকে হাকিমপুরের মুর্শিদপুর গ্রামে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছিলাম তারই অ্যাসেসমেন্ট হিসেবে ইশবপুরে দ্বিতীয় দফায় অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে। এখানে থাকা ধাতব ও খনিজ পদার্থ রয়েছে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কাজের প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা সম্ভাব্য এলাকাগুলো চিহ্নিত করার পর কূপ খনন করে ড্রিল করে থাকি।